Loading...
「ツール」は右上に移動しました。
利用したサーバー: wtserver3
611いいね 27238回再生

ইরাকবিজেতা সাহাবী সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস | সম্পূর্ণ জীবনী

ইরাকবিজেতা সাহাবী সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস | সম্পূর্ণ জীবনী

পূর্বের ভিডিও:    • আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ রাঃ | সম্পূর্...  
পরবর্তী ভিডিও:    • আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা) | সম্পূর্ণ...  
----------------------
নাম আবু ইসহাক সা'দ, পিতা আবু ওয়াক্কাস মালিক । ইতিহাসে তিনি সা'দ ইবন আবি ওয়াক্কাস নামে খ্যাত। কুরাইশ বংশের বনু যুহরা শাখার সন্তান। মাতার নাম 'হামনা' । পিতা-মাতা উভয়েই ছিলেন কুরাইশ বংশের। সা'দের পিতা আবু ওয়াক্কাস ইসলাম গ্রহণ করে রসুলাল্লাহর (সা) সাহাবী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। মাতা হামনাও ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তবে পরিবারের মধ্যে সবার আগে ইসলাম গ্রহণ করেন পুত্র সা’দ। তার ইসলাম গ্রহণের কথা শুনে মা হামনা শুরুতে বেশ হৈ চৈ ও বিলাপ শুরু করেন। মায়ের কাণ্ড দেখে ক্ষোভে দুঃখে হতভম্ব হয়ে সা'দ রাঃ ঘরের এক কোণে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকলেন। কিছুক্ষণ বিলাপ ও হৈ চৈ করার পর মা হামনা পরিষ্কার বলে দেন: “সা'দ যতক্ষণ মুহাম্মাদের ধর্ম ত্যাগ না করবে ততক্ষণ আমি কিছুই খাব না, কিছুই পান করব না, এমনকি রৌদ্র থেকে বাঁচার জন্য ছায়াতেও আসব না। মার আনুগত্যের হুকুম তো আল্লাহও দিয়েছেন। আমার কথা না শুনলে অবাধ্য বলে বিবেচিত হবে এবং আমার সাথে তার কোন সম্পর্কও থাকবে না।”

মায়ের এমন ঘোষণায় সা'দ রাঃ বড় অস্থির হয়ে পড়েন। রসুলাল্লাহর কাছে উপস্থিত হয়ে তিনি সব ঘটনা বর্ণনা করেন। এরই মধ্যে নাজিল হয় পবিত্র কোরআনের সূরা আনকাবুতের অষ্টম আয়াত-

'আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তবে তারা যদি তোমার ওপর বল প্রয়োগ কোরে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করতে বলে যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তুমি তাদের আনুগত্য করো না।'

কুরআনের এ আয়াতটি হযরত সা'দের মানসিক অস্থিরতা দূর করে দিল। তাঁর মা তিনদিন পর্যন্ত কিছু মুখে দিলেন না, কারো সাথে কথাও বললেন না। তাঁর অবস্থা বড় শোচনীয় হয়ে পড়ল। সাদ রাঃ বার বার মায়ের কাছে গিয়ে তাঁকে বুঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু তাঁর সব চেষ্টাই ব্যর্থ হলো। অবশেষে তিনি মায়ের মুখের ওপর বলে দিতে বাধ্য হলেন: 'আপনার মতো হাজারটি মাও যদি আমার ইসলাম ত্যাগ করার ব্যাপারে জেদ ধরে পানাহার ছেড়ে দেয় এবং প্রাণ বিসর্জন দেয়, তবুও আমি সত্য দ্বীন পরিত্যাগ করতে পারবো না।' হযরত সা'দের এই বক্তব্য তাঁর মায়ের মনে গভীর রেখাপাত করে যায়। তিনি তার প্রতিজ্ঞা থেকে বের হয়ে আসেন এবং ইসলাম সম্পর্কে জানার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়কে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করে তোলেন এবং তিনিও রসুলাল্লাহর কাছে গিয়ে ঈমানের ঘোষণা দেন।

হযরত আবু বকর রাঃ ছিলেন সা'দ রাঃ এর অন্তরঙ্গ বন্ধু। আবু বকরের দাওয়াতেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। হযরত সা'দের ছোট ভাই উমাইর বিন আবি ওয়াক্কাস (রা) ও ইসলাম গ্রহণ করেন। যদিও ওই সময় উমাইর রাঃ এর বয়স ছিল নিতান্তই কম। তবে সাদ রাঃ এর আরেক ভাই ছিল, যার নাম উতবা বিন আবি ওয়াক্কাস। উতবা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইসলামের ঘোর শত্রু হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
.............................
সম্পূর্ণ জীবনী দেখুন ভিডিওতে।

コメント